সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের গতি থামাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। এরই অংশ হিসেবে ১৮ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। দেশটির কারাগারগুলোতে কয়েদির সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। ইন্দোনেশিয়ায় চীনের পর এশিয়ার সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে আজ বৃহস্প্রতিবার।
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়েছিলো জেলখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কয়েদিরা গাদাগাদি অবস্থায় আছে। এসব কারাবন্দিরা করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ৩০ হাজার কয়েদিকে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সংশোধন কেন্দ্রের মুখপাত্র রিকা অপ্রিয়ন্তি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ৩০ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি দেয়া। কিন্তু এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’ এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে সরকারের আরেক ঘোষণায় বলা হয়েছিলো, কিশোর অপরাধী এবং যে সব আসামী তাদের হাজতবাসের দুইতৃতীয়াংশ সময় পূর্ণ করেছে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। মুক্তির পর কয়েদিদের সেল্ফ কোয়ারিন্টিনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্প্রতিবার ইন্দোনেশিয়ায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭০ জন। এর মধ্যদিয়ে দেশটি দক্ষিণ কোরিয়াকে অতিক্রম করেছে। চীনের পর এশিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড দক্ষিণ কোরিয়ার ছিলো। ইন্দোনেশিয়ায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৯০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৭ হাজার ১৯৩ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ঝুঁকিতে থাকা কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানানো হয়েছিলো। গত সপ্তাহে আফগানিস্তান ঘোষণা করেছে তারা ১০ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি দেবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট